পরমাত্মা, যদিও ব্রহ্মা সৃষ্টিকারী, তুমি অবসানহীন হওয়ার কারণে, তুমি সমস্ত দেবতার ঈশ্বর হওয়ার কারণে, তুমি মহাবিশ্বের আবাসস্থল হওয়ার কারণে, তুমি অমর হওয়ার কারণে, এবং তুমি সত্য এবং মিথ্যার বাইরে থাকার কারণে, তুমি সবকিছুই করছ; তবুও, কেন তিনি তোমাকে পূজা করবেন না?
শ্লোক : 37 / 55
অর্জুন
♈
রাশি
মকর
✨
নক্ষত্র
উত্তরাষাঢ়া
🟣
গ্রহ
শনি
⚕️
জীবনের ক্ষেত্র
কর্মজীবন/পেশা, পরিবার, স্বাস্থ্য
এই ভাগবত গীতা শ্লোকে অর্জুন কৃষ্ণের পরমাত্মা অবস্থান উপলব্ধি করে তাঁকে পূজা করেন। মকর রাশি এবং উত্তরাদ্রা নক্ষত্রধারীরা, শনি গ্রহের আশীর্বাদে তাদের জীবনে স্থিতিশীলতা অর্জন করবেন। পেশা এবং পারিবারিক জীবনে শনি গ্রহের প্রভাবের কারণে, তারা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করবেন। পেশায় সফলতা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। পরিবারের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে, একজনের মনে শান্তি রাখা উচিত। স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, প্রতিদিনের যোগ এবং ধ্যানের মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে হবে। কৃষ্ণের পরমাত্মা অবস্থান উপলব্ধি করে, দেবতার আশীর্বাদ পাওয়ার মাধ্যমে জীবনে উন্নতি অর্জন করা সম্ভব। তাই, দেবতার প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করে জীবনে স্থিতিশীলতা এবং বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব।
এই শ্লোকে, অর্জুন কৃষ্ণকে গুণগান করছেন। তিনি বলেন যে সত্যিই ব্রহ্মা-সদৃশ সৃষ্টিকারীরা ঈশ্বরকে পূজা করতে শুরু করেন। কৃষ্ণ সমস্ত দেবতার মূল কারণ এবং আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া, তিনি অমর এবং সমস্ত সত্যের বাইরে। এভাবে, কৃষ্ণের মহিমা জানার পরেই তাঁকে সত্যিকার অর্থে পূজা করা হয়। এই কারণে, অর্জুন বুঝতে পারেন যে কৃষ্ণ সত্যিই পরমপুরুষ।
এই শ্লোকটি বেদান্তের গুরুত্ব প্রকাশ করে। পরমাত্মা মানে সকল জীবের মধ্যে থাকা চিরন্তন আত্মা। অর্থাৎ, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব সকলেই এক আত্মার রূপান্তর। ঈশ্বরের সর্বব্যাপী প্রকৃতি তাঁকে সমস্ত সত্যের উপলব্ধি করার ক্ষমতা দেয়। সত্যিই, এই জগতে সবকিছু ঈশ্বরের শক্তির দ্বারা সৃষ্ট হয়। জীবেরা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করার মাধ্যমে সত্যকে অর্জন করতে পারে। তাই, দেবতার প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করা উচ্চতর জীবনের উদ্দেশ্য।
আজকের বিশ্বে দেবতার প্রতি ভক্তি সহকারে জীবনযাপন একটি স্বস্তিদায়ক যাত্রা। পারিবারিক কল্যাণ এবং ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একজনের মনে শান্তি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেশা এবং অর্থের বিষয়ে সৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করুন। দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিনের যোগ এবং ধ্যান সহায়ক। সঠিক খাদ্যাভ্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। পিতামাতার দায়িত্ব বোঝা এবং তাদের কল্যাণে অংশগ্রহণ করা উচিত। ঋণের চাপ কমাতে, খরচ পরিকল্পনা করা আবশ্যক। সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করার সময় সময় নষ্ট না করে, শুধুমাত্র গুণগত তথ্য গ্রহণ করুন। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনে স্থিতিশীলতা এবং বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব।
ভগবৎ গীতা ব্যাখ্যাগুলি AI দ্বারা তৈরি; তাতে ত্রুটি থাকতে পারে।